রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান ও সচিব আবুহেনা মো. রাশেদ ইকবালের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করায় ওই প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক্ষক রেখা বেগম ও ইলেকট্রিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম টুলু ওরফে লিজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আটককৃতরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এ ঘটনায় মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান বাদি হয়ে সোমবার রাতে আটক দুই কর্মচারীসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এরআগে ওইদিন সন্ধ্যায় পৌর ভবনে পুলিশ ডেকে ওই দুইজনকে তাদের কাছে সোপর্দ করেন তিনি।
মামলার অপর আসামি হলেন নলছিটি উপজেলার সারদল গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে এবিএম জাহিদুল ইসলাম। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ইলেকট্রিশিয়ান টুলু ও ঠিকাদার জাহিদুল ইসলাম মেয়র ও সচিবের স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংকের পৌরসভার যৌথ স্বাক্ষরের হিসাব নাম্বার থেকে ৪ লাখ টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। কিন্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনসার আলি খান স্বাক্ষরে সন্দেহ প্রকাশ করে বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করেন। বিপদ আঁচ করতে পেরে অন্য একটি চেক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে ব্যাংক সটকে পড়েন তারা। ওইদিন বিকেলে হিসাব রক্ষক রেখা বেগম ও ইলেকট্রিশিয়ান সিরাজুল ইসলাম টুলুকে চেক বই ও ব্যাংকে নিয়ে যাওয়া চেকটিসহ পৌর ভবনে আসতে বললে তারা সেখানে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় ওই জাল স্বাক্ষর সম্বলিত চেকটি উদ্ধার করা হয়। ওই সময চেক বইটি মেয়রকে ফেরত দেন হিসাব রক্ষক রেখা বেগম।
পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান বলেন, ‘আমার ও সচিবের স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংকের নলছিটি শাখা থেকে মেসার্স সুগন্ধা এন্টারপ্রাইজের নামে ৪ লাখ টাকা উত্তোলনের সময় ব্যবস্থাপকের সন্দেহ হওয়ায় আমাকে খবর দেয়। এরপর কৌশলে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছি।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ.এম মাহমুদ বলেন, ওই দুইজনকে মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলার বাকি আসামিকে আটকে অভিযান চলছে।
Leave a Reply